একটি সেতু নির্মাণ এবং ভাঙ্গা নদীর ওপারে একটি সেতু নির্মাণ করার মতো। যদিও কোনও সংযোগকারী রাস্তা নেই, কিছু ক্ষেত্রে একটি সেতুর উদাহরণও সম্প্রতি আলোচিত হয়েছে।ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী ব্রিজ (সাধারণত বুশিলা ব্রিজ নামে পরিচিত) আবার আলোচনার জন্য হাজির করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি ভুল করার জন্য সরকার সেতুটি ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবছে।
আজ (২৮ জুলাই) পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (একনেক) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে শামস আল-আলম এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকে শের-ই-বাংলা নগরে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে (এনইসি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপযুক্ত উচ্চতা বজায় রেখে সারাদেশে সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণের আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লুটিএ) সাথে সমন্বয় হবে।
তার পক্ষে পরিকল্পনার প্রতিমন্ত্রী শামস আল-আলম বলেছিলেন, “প্রতিটি ব্রিজ অবশ্যই পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে।” সেতু নির্মাণের সময় উচ্চতা বজায় রাখতে হবে যাতে লোড সেতুর বিছানা জুড়ে চলে যেতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় ৮০৫ টি সেতু ভেঙে ফেলতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাচেল ব্রিজ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান বৃষ্টির জলের কারণে কার্গো জাহাজগুলি ব্রিজের নীচে যেতে পারছে না। তাই সেতু তোলা উচিত।
যাইহোক, বুড়িগঙ্গাপর জেলা বোছিলা নামে পরিচিত সেতুর চৌরাস্তা থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী ব্রিজ পর্যন্ত। এই সেতুটি বোচিলা ব্রিজ বা তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু নামেও পরিচিত। সেতুটি কেরানীগঞ্জকে মুহাম্মদপুরের সাথে যুক্ত করেছে।
জানা গেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ এ শহীদ বুদ্ধজীবী সেতু উদ্বোধন করেছিলেন। উত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উইং ৩৩-এ এই অঞ্চলটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৭০৮ মিটার এই সেতুর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৪.৯ কোটি টাকা। এবার ভুল পরিকল্পনার কারণে সরকার মাত্র ১১ বছরে সেতুটি ভেঙে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
0 মন্তব্যসমূহ