শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি বিষয়ক চার সপ্তাহের রুল জারি ও শোকজের কপি বের হয়েছে(লেটেস্ট আপডেট) ।
মহামান্য হাইকোর্টে উত্থাপিত বদলি বিষয়ক মামলার রুলজারি, অর্ডার কপি বের হয়েছে। আমরা বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিশিষ্টজনের সাথে সাক্ষাৎ ও আলোচনা করে মামলার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন দাবি বিষয়ক মামলা পরিবর্তন করে এমপিও নীতিমালা,২০১৮ এর ১২ নং অনুচ্ছেদ, ২০২১ এর অনুচ্ছেদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা এমপিও নীতিমালা (যা ২০২০ এ সংশোধিত) বিভিন্ন অনুচ্ছেদ অনুসারে সকল শিক্ষকদের সরকারি স্কুল কলেজ শিক্ষকদের অনুরূপ নীতিমালা সংশোধন করে বদলি অন্তর্ভুক্ত ও সরাসরি বদলি চালু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে তথা, সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মুল বিবাদী করে সরাসরি বদলি দাবিতে মামলা করেছি মামলা নাম্বার 4882/2021।
যা গত ২ জুন, ২০২১ রুল নিশি জারি হলে ২৪জুন,২০২১ অর্ডার কপি বের হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরে পৌছায়।এরপর আগামী চারসপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে রুল জারি ও শোকজ করেছে সচিবদের। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের ফলে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লকডাউনের পরপরই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত,শিক্ষা মন্ত্রণালয় জবাব দিবে। অন্যান্য বিবাদীরা হলো চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে। যার ফলে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটি সময় শূণ্য পদের বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি সার্কোলার জারী করবেন; তাতে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি চাহিদা পুরন হবে।
ইতোপূর্বে, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন সুযোগ দিতে মামলা করা হয়েছিল যার আদেশ ছিল NTRCA প্রতি। পরবর্তীতে NTRCA লিখিত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট হয় যে জনবল কাঠামো পরিবর্তন ও নীতিমালা সংশোধন করার ক্ষমতা NTRCA হাতে নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল ক্ষমতা অধিকারী।
মন্ত্রণালয় নীতিমালা সংশোধন করে বদলি নিজে করতে পারেন,মাউশি কিংবা NTRCA যেকোন প্রতিষ্ঠানকে অর্ডার করলেই কেবল তারা বদলি বাস্তবায়ন করতে পারবেন।ফলশ্রুতিতে, বিভাগীয় প্রার্থী বিষয়ক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন মামলার রায় কাজে আসেনি। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞ আইনজীবী ও এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করে মামলার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সরাসরি বিবাদী করে সরাসরি বদলি মামলা যা শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায় বদলি বাস্তবায়ন করতে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করা হয়।পরবর্তী শুনানি জবাব আগস্টে আদালত খুললেই হবে ইনশাআল্লাহ।
বদলি বাস্তবায়ন কমিটি বদলির দাবিতে আন্দোলন,সরকারের সাথে আলোচনা ও মামলাসহ চতুর্মুখী চেষ্টা অব্যাহত আছে। লকডাউনের পরে পুনরায় দ্বীগুন শক্তিতে বদলির দাবিতে সব ধরনের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন,সতর্ক থাকুন, বদলির দাবিতে সোচ্চার হোন। বদলি বাস্তবায়ন কমিটি হেরে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার পাত্র নয়।
শেষ অবধি মাঠে থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি বাস্তবায়ন হবে। বদলি বাস্তবায়ন কমিটি থেমে গেলে লক্ষাধিক শিক্ষকের প্রানের দাবী বদলির স্বপ্ন হারিয়ে যাবে।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,
সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র,
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন কমিটি।
২৮ জুলাই, ২০২১
0 মন্তব্যসমূহ