পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনতে বাংলাদেশ আগ্রহী নয় বরং নতুন নতুন ক্ষেত্রে বড় পরিসরে সম্পর্ক গড়তে চায়। শনিবার "২" এপ্রিল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অস্ত্রের ভাণ্ডার সৃষ্টি করতে চাই না। কারণ আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা খুবই শান্তিপ্রিয় দেশ। সব প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। অস্ত্র সংগ্রহ করলেই তো যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসে। আমরা ওইগুলোতে নেই।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় ব্যবসা। অস্ত্র কেনাকাটার বাইরে দুই দেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর, ওষুধ, নীল অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ করতে পারে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ।
আগামীকাল সোমবার "৪" এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেদিনই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
দুই দেশের আলোচনার কেন্দ্রে থাকা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও যুক্তরাষ্ট্রকে তাগিদ দেবে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান নেওয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর বিষয়েও আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ