গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আরোপ বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। পিটার হাসের এমন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে বলেও প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের তথ্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে, অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারও অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। আমাদের গণমাধ্যমকে অন্য কোনো দেশের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা সমীচীন নয়।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে বার্তা দিচ্ছে, তা সংখ্যার বিষয় নয়। এতে গণমাধ্যমের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তিনি বলেন, সরকারপন্থি, বিরোধীদলীয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় থাকুক, বিচার বিভাগের থাকুক, গণমাধ্যমে থাকুক, যেখানেই থাকুক না কেন; আচরণের ওপর ভিত্তি করে সবার ক্ষেত্রে আমরা নীতিটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি। এটি তাদের কর্ম ছাড়া অন্য কিছুর ওপর ভিত্তি করে নয়।
0 মন্তব্যসমূহ