Hot Posts

6/recent/ticker-posts

৫৪ হাজার হবু শিক্ষককের ফল প্রকাশে কেন বিলম্ব হচ্ছে?

👉যে কারণে প্রকাশে বিলম্ব NTRCA এর ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল❗

 

রিটকারী আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করতে হাইকোর্টের রায় বাতিল হলেও এখনো ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। যদিও গত সোমবার (২৮ জুন) রায়ের দু/একদিনের মধ্যেই ফল প্রকাশও করার কথা থাকলেও এ সপ্তাহের শেষ দিনেও সেটি সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ এর জনৈক সচিব বলেন, ‘আমরা মূলত রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি। ওটা হাতে পেলে আমরা ফল প্রকাশ করতে পারবো। তার আগে সম্ভব নয়। কপি পেতে আমাদের হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তারপর সেটির বিচার-বিশ্লেষণ করে সবকিছু দেখে ফল প্রকাশ করা যাবে।

 

গত বুধবার নিয়োগ প্রত্যাশীরা এনটিআরসিএ অফিসে এসেছিলেন কিন্তু এনটিআরসিএ অফিস থেকে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে NTRCA এর বক্তব্য ‘ফল প্রকাশ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। চাইলেই প্রকাশ করা সম্ভব না। নিয়োগ প্রত্যাশীরা এসে একটা দাবি করলেইতো আর ফল দিয়ে দেয়া যায় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমাদের কঠোর হতে হয়েছে।’

 

তবে গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে পরামর্শ করেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছি। তিনি ডকুমেন্ট হিসেবে একটি লিখিত আবেদন চেয়েছেন।

📌আবেদনে উপমন্ত্রী যেদিনই অনুমোদন দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

এক্ষেত্রে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

⏩(করোনার কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে রায়ের কপি কবে নাগাদ NTRCA কর্তৃপক্ষ হাতে পাবে তা বলা মুশকিল। যদি লকডাউন/শাটডাউন এর সময় বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে সময় দীর্ঘ হবে তা অনুমেয়।)⏪

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায় দেয়ার পর চূড়ান্ত ফলাফল দেয়ার আগে আইনগত আরও কোনো জটিলতা আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য আইনজীবী প্যানেলকে বলা হয়েছে। তারা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার পর দ্রুততম সময়ের মদ্ধে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করবেন।

 

⏺✴️সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, নিয়োগ প্রত্যাশীতদের হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে আমার অনুমান।

মোঃ আকতারুজ্জামান খাঁন

সহঃ শিক্ষক, হরিণ সিংহা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

সদর উপজেলা, গাইবান্ধা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ