নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:২৪/০৭/২০২১ ইং।
শফিকুল ইসলাম(ছদ্ধ নাম),৯ম নিবন্ধন গণিত,মার্ক ৮৪ , দ্বিতীয় গনবিজ্ঞপ্তি তে তার নিজজেলা টাঙ্গাইলে পোস্ট সল্পতার কারনে নিয়োগ না পেয়ে খুলনার একটা স্কুলে নিয়োগ পায়। সেখানে অনেক ঝামেলা পেরিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে কোনমতে জীবন যাপন করছিল।
এখন তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তিতে সে আবার আবেদন করে ইনডেক্স দিয়েই বাড়ীর কাছাকাছি একটা স্কুলে বদলি হয়ে খুব খুশি।কারণ এতো দূরে যাতায়াত করে,দূরে থেকে স্কুলে যাওয়ার যে ঝক্কি ঝামেলা তা পোহাতে হবে না।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যাবে যদি একটু খোঁজ নেওয়া যায়। অনেকেই শুধু পোস্ট সল্পতার কারনে নিজ এলাকায়,নিজ বিভাগে শিক্ষক হতে পারে নি।তারা তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নিজ নিজ পছন্দক্রম প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরেছেন এজন্যই অনেকেই এনটিআরসিএ কে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
এখন সমস্যা হলো সে বদলি হয়ে পছন্দক্রম প্রতিষ্ঠানে আসলেন কিন্তু তার পোস্ট টি শূন্য থেকে গেলো এ দায় কার? এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষক শূন্যতা আদৌও কি পূরণ করা সম্ভব? একটা পোস্ট শূন্য হলে সেখানে নতুন আরেকজন কে নিয়োগ দিলেই তো ঘাটতি পূরণ করতে পারবে অন্যাথায় এটা কিভাবে সম্ভব?
এটা কি এনটিআরসিএর নীতিমালার ত্রুটি নাকি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর ত্রুটি? অনেকেই না বুঝে এনটিআরসিএ কে দোষারোপ করছেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শুধু সচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ও সুপারিশ করার জন্য আর বাকী সব করবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রনালয় তবে তাদের একক দায়ভার কেন?
এরকম একটা বিশাল ত্রুটি ও ঘাটতি রেখে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ করলে ফলাফল যে লাউ সেই কদু হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)এর যে ত্রুটি নেই তা নয় ,তারা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেন ফলে পোস্ট টি এমপিওভুক্ত কিনা,নন এমপিও ভুক্ত কিনা,সৃষ্ট পদ কিনা ? এসব যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিয়োগ সুপারিশ করলে কি পরিমান বিরম্ভনায় পড়তে হয় তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ জানে না।
এক্ষেত্রে শুধু এনটিআরসিএ এর একক দোষ নয় অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান ভুল চাহিদা দিয়ে দায় এড়িয়ে বিরম্ভনায় ফেলে ।
আগামী চতুর্থ গনবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আগে অবশ্যই এই বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে বিবেচনা করলে শিক্ষক নিয়োগে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
0 মন্তব্যসমূহ