প্রথমবারের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অ্যানুয়াল সিক্রেট রিপোর্ট বা এসিআর।
এতে শিক্ষকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ মনে করছেন, শিক্ষকদের হয়রানি করার জন্য এসিআর চালু করা হয়েছে,এটা মরার উপর খাড়ার ঘা,এক শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ইএফটি তে বেতন চালু করতে পারে নি ,এখন আবার এসিআর! এতে করে প্রধান শিক্ষক হয়রানি করবে অথবা এর অপব্যবহার করবে।
আরেকজন শিক্ষক আরেকটু এগিয়ে এসে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান এমনিতেই নানাভাবে হয়রানি করে এখন তাদের আশে পাশে থাকা সুযোগ সন্ধানী শিক্ষকগণ কে বেশি সুযোগ সুবিধা দিবে এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বঞ্চিত করবে।
একজন শিক্ষক বলেন,কলেজ শিক্ষকের অনুপাত প্রথা বাতিল করতে হবে,একই পেশায় পঁচিশ বছর ধরে চাকরি করে পদোন্নতি পাওয়া যায় নি সেখানে এসিআর হাস্যকর!
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এই এসিআর লিখবেন। তাতে প্রতিস্বাক্ষর করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক। সারা দেশে মাউশির ৯ জন আঞ্চলিক পরিচালক রয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক) এসিআর লিখবেন মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক। তাতে প্রতিস্বাক্ষর করবেন মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক। এরপর তা সরকারের কাছে (মাউশিতে) জমা দেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও যোগ্যদের মূল্যায়নের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের এসিআর চালু করা গেলে পদোন্নতিসহ শিক্ষকদের সার্বিক উন্নয়নে তা কাজে লাগানো হবে। বেতন স্কেলের পরবর্তী উচ্চতর ধাপে যেতেও তা প্রয়োজন হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষকদের সংখ্যা বিপুল হওয়ায় তাদের এসিআরের বিষয়টি কাগজে-কলমে না করে অনলাইনে ‘ই-এসিআর’ করার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য পৃথক নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে অনেক শিক্ষক এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন,এটা অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে করা হয়েছে,এতে শিক্ষকদের মধ্যে কাজের প্রতিযোগিতা ও গতি বৃদ্ধি পাবে।
শিক্ষক,লেখক, কলামিস্ট।
0 মন্তব্যসমূহ