মোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বার্ধক্যে মারা যান। পাঁচ বছর আগে একই এলাকায় মারা যান শামসুদ্দিন।
ওই এলাকার আব্দুল খালেক (৫৫) তিন বছর আগে মারা যান। তারা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন।
কিন্তু এই মৃত ব্যক্তিরা ভোট দিয়েছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচনে বিলরাউল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সশরীরে হাজির হয়ে ভোট দেন তারা! কারণ ওই কেন্দ্রে সেদিন ১০০% ভোট পড়েছিল।
পরাজিত প্রার্থী আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানিতে দেখা যায়, ওই দিন প্রাপ্ত ভোটার তালিকায় এই মৃত ব্যক্তিদের নাম ছিল।
তিনি কারাগারে আছেন। জেলে থাকলেও প্রাপ্ত ভোটের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। এছাড়াও তালিকায় অনেক প্রবাসীর নাম পাওয়া গেছে। দেশের বাইরে যারা আছেন, তাদের ভোট দিয়েছেন দেখানো হয়।
স্থানীয়রা শত শত মানুষের নাম উল্লেখ করেছে যারা মৃত বা প্রবাসী বা কারাগারে রয়েছে। যাদের ভোট দেখানো হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা বিলরাউল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শতভাগ ভোট গ্রহণ দেখিয়ে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
বিষয়টি অস্বাভাবিক দাবি করে গত ২৯ মার্চ জেলার সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের আদালতে মামলা করেন জেলার সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ফরিদ মিয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
0 মন্তব্যসমূহ