কেন এখনো গণ-অভ্যুত্থান হচ্ছে না—এই প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পরিবর্তন আনতে হলে বড় রকমের ঝাঁকুনি-সংগ্রাম দরকার। সে সংগ্রামে আমরা আছি। কিন্তু তা যথেষ্ট কি না, তা এখনই চিন্তা করতে হবে। সুনামির মতো অভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো সম্ভব না।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত স্বাধীনতা হলে আজ বুধবার আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (নুরুল-রাশেদ)
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কারও মানবাধিকার নেই। সাম্প্রতিক সব ঘটনাই দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কেন এখনো গণ-অভ্যুত্থান হচ্ছে না? আওয়ামী লীগ নিজেদের দেশের মালিক মনে করে। পরিবর্তন আনতে হলে বড় রকমের ঝাঁকুনি-সংগ্রাম দরকার।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁদের নেতারা বলছেন, আমার থেকে জঘন্য মিথ্যাবাদী নাকি কেউ নেই। তারা যে ভাষায় কথা বলে অভ্যস্ত, আমরা সে ভাষায় কথা বলে অভ্যস্ত না। তারা নাম ধরে গালিগালাজ করে, এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়। আওয়ামী লীগের শরীরী ভাষাই সন্ত্রাসী।’
চলমান আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তরুণদের ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়। এত আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু তরুণদের সামনে কম দেখছি। পরিবর্তন, সংগ্রাম, লড়াই করতে হবে তরুণদের। সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার হরণ হচ্ছে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়ে প্রতিবাদ দেখি না। রাস্তায় নামে না। দুর্ভাগ্য আমাদের, এখন তরুণ-যুব-ছাত্রদের সামনে দেখতে পাই না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের সংবিধান নষ্ট করে ফেলেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করেছে। মানুষের সংবিধান নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে দেওয়া রায় পরিবর্তন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে দুর্নীতি পরায়ণ জাতিতে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।
সভাপতির বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটবে। কাটাছেঁড়া করে সংবিধানকে গণবিরোধী করা হয়েছে। বিরোধী মত দমনে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের মতো কথা বলছেন। পুলিশ প্রশাসনে ছাত্রলীগের নেতাদের ঢোকানো হয়েছে। তাঁরা ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ