Hot Posts

6/recent/ticker-posts

এতটা নৈতিকতা বিবর্জিত হইনি, বললেন সিইসি

 

সরকারকে জেতাতে নির্বাচন কমিশন কোনো দস্তখত করে ফেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারেনি। জনগণ ধারণা করে, সরকারকে জেতাতে ইসি দস্তখত করে ফেলেছে। এতটা কাউয়ার্ড (কাপুরুষ) হইনি। এতটা নৈতিকতা বিবর্জিত হইনি।’  

আজ বুধবার ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সিইসি হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতা বুঝতে বিশিষ্টজনদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে ইসি। সেখানে চারজন আলোচক, চারজন পর্যালোচক এবং বেশ কয়েকজনকে অতিথি অংশ নেন।

কর্মশালায় পর্যালোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি হুমায়ুন কবির। তিনি তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনীর মাধ্যমে ইসি নিজেদের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। আরপিও সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন নিজেদের ক্ষমতা কেন কমাল। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, সিইসির সক্ষমতা আরও বাড়বে। ইসির ক্ষমতা বাড়ার বদলে কমেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ।

এই বক্তব্যের মাঝখানেই কথা বলতে শুরু করেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সক্ষমতা কমিয়েছি, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। গণমাধ্যমের একটি বিষয় থাকে, ইসিকে খাটো করে দেখানো। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সারা দেশে প্রচার হচ্ছে, ইসি নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। ইসি মাথা নিচু করে সরকারের পক্ষে চলে গেছে, এটা মোটেই সত্য নয়।’

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো প্রতিবেদন চোখ বন্ধ করে গেজেট করার বিধান ছিল। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো প্রতিবেদন স্থগিত রেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে। অনেক সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পেশিশক্তির কারণে কেন্দ্রে অসহায় হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতি হলে তিনি পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ডাকবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চলে আসতে পারবেন। জনগণের মতের প্রতিফলন হবে না, পরিস্থিতি এমন হলে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে আসতে পারবেন।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারেনি। সাধারণের ধারণা, সরকারকে জেতাতে দস্তখত করে ফেলেছে। এতটা কাউয়ার্ড (কাপুরুষ) হইনি। নৈতিকতা বিবর্জিত অতটা হইনি।’

সকালে নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া কর্মশালা টানা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। এতে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, সম্পাদক, সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা অংশ নেন। তাঁরা নির্বাচন নিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা, বাস্তবতা তুলে ধরেন।


উত্স থেকে সম্পূর্ণ সংবাদ লিঙ্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ