গ্যালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের এক বছর পরে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর আবারও চীন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেও চীন কি তার সেনাবাহিনীকে সরিয়ে দিচ্ছে? এস জয়াশঙ্কর লাদাখ সীমান্তে চীনের আন্দোলন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
অন্যদিকে, চীন ও পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করতে আফগানিস্তানের তালেবানদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত কাজ করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবি। আফগানিস্তানের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভারত দেখছে।
কাতারের বিশেষ দূত মুতালাক বিন মাজিদ আল কাহতানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে ভারতীয় কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেছেন।
শেষ পর্যন্ত তবে কাতারের বিশেষ দূত দাবি করেছেন যে ভবিষ্যতে তালেবানরা আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারত তালেবানদের সাথে আলোচনায় রয়েছে। ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অরিন্দম বাঘি বলেছেন, আফগানিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার। আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারত সহায়তা করেছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কাতারি বিদেশ বিষয়ক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে বৈঠক করেন। তারা দু’দেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন। আফগানিস্তানও শান্তি প্রক্রিয়াতে অংশ নেয়।
আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে দেশে শান্তি বজায় রাখতে হলে অবশ্যই দেশ ও আশেপাশে শান্তি থাকতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ও চীনকে চাপ দেওয়ার জন্য ভারত আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সুরক্ষা পরামর্শক অজিত দোভালের তীক্ষ্ণ মন রয়েছে। তালেবানরা কী কী কাঁটা ধরতে চায় তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
0 মন্তব্যসমূহ