বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ

 

ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ কর্তৃক জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার উপর সংগঠিত গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা, ৫ ই মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা সহ ১৫ বছরের সকল  অপকর্ম ও দুর্নীতির বিচার কার্যকর করার দাবিতে এবং আধিপত্যবাদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টি। 

সংগঠনের আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় জাতীয় জাদুঘর এর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র সাইফ মাহমুদ জুয়েল,  প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন 

ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকার উৎখাতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি বর্তমানেও এক সাথে কাজ করতে চাই।  তিনি নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে, খুনি হাসিনার আমলের অবৈধ  কাউন্সিলর দের নিয়ে মিটিং এর তিব্র সমালোচনা করে বলেন,  আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের কোন ভাবেই পূর্নবাসন করা যাবে না।  যে বা যারাই এমন কাজ করবে জণগণ তাদের ও প্রত্যাখ্যান করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান  এর  বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ওয়াসিম সহ সকল শহীদের সরণ করেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে আহম্মেদ শাকিল বলেন ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকার উৎখাতের পটভূমি রচনা করা হয় ২০২৩ সালে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে গঠনের মধ্য দিয়ে। বিরোধী সকল ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একমুখী আন্দোলনের ফলে সরকার পতন হয়েছে।   জুলাই আগস্টে নিহত দের যথাযথ ক্ষতিপূরন ও আহত দের পূর্নবাসন এর দাবি জানান আহম্মেদ শাকিল।  ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকার কর্তৃক সংগঠিত গনহত্যার বিচার কার্যকর করার আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান রিজু, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা শামসুল আলম, লেবার পার্টির সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান, গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, পিপলস পাওয়ার পার্টির সভাপতি ফখরুল ইসলাম রানা, দেশ বাচাঁও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংবিধানিক অধিকার ফ্রম এর সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, বেকার মুক্তি আন্দোলন এর সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মৃর্ধা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্নয়ক জবের মাহমুদ,  বাংলাদেশ ছাত্র মিশন এর সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ছাত্রনেতা ইয়াসিন আরাফাত,  বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী বৃন্দ।