Hot Posts

6/recent/ticker-posts

ময়মসিংহে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পুলিশের হামলা ও গুলি!

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোগ্রামের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে,২০০/২৫০ লোকের সমাবেশে ২০/২৫ জন পুলিশ ও ডিবি হামলা করছে। এমনকি পুলিশের পোষাক পরিহিত কয়েকজনকে গুলি করতেও দেখা গেছে।একজন দেশপ্রেমিক পুলিশ কিংবা ডিবি সদস্য কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে এভাবে গুলি করবে না।কারণ, সেটা তার চাকরির বিধানেও নাই।গুলি যারা করছে ওদের পরিচয় খুঁজলে দেখবেন হয় পুলিশের পোষাকে সরকারি দলের গুন্ডা না হয় পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডা!

ছাত্রলীগ,যুবলীগের সবাই খারাপ আমি সেটিও বলছি না। তবে সরকার তাদের বড় একটি অংশকে রাজপথের লাঠি ও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে খারাপ বানিয়েছে, বানাচ্ছে। বেচারারা ক্ষমতার সাময়িক মোহ ও অর্থের লোভে খুনি হতেও দ্বিধাবোধ করছে না।

তবে যে কথাটি বলতে চেয়েছিলাম; সমাবেশের ২০০/২৫০ লোক যদি পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতো, ওরা বন্দুক ফেলে লেজ গুটিয়ে পালাতো। নিরস্ত্র সমবেত হয়ে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান জনগণকে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে হামলা ও গুলি করার অধিকার প্রশাসনের নেই। তাই প্রশাসনের লোক গুন্ডামি করতে আসলে জনগণেরও সে গুন্ডামি প্রতিহত করার অধিকার আছে।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে না পারলে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জয়লাভ সম্ভব না। জেগে ওঠো বাংলাদেশ।
নিপীড়িত জনতা গড়ে তোল একতা।
লেখক: নুরুল হক নুর,সাবেক ভিপি,ঢাবি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ