Hot Posts

6/recent/ticker-posts

তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির দ্রুত সুপারিশ ও যোগদান-ই পারে শিক্ষার সংকট দূর করতে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:২২ জুলাই ২০২১ ইং।

তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির দ্রুত সুপারিশ ও যোগদান-ই পারে এই শিক্ষার সংকট দূর করতে।
চলমান করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্র যেন চরম সংকটে।পেনডামিক বা অতিমারির পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে এবং বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার বার বন্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া নিয়ে চরম উদ্বেগজনক অবস্থা বিরাজ করছে। অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা ও অন্ধকারে নিমজ্জিত ভবিষ্যত। ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা কুল কিনারা পাচ্ছে না, তারা কিভাবে তাদের লেখাপড়া পুষিয়ে নিবে!
শিক্ষকগণ একেক সময় একেক রকম নির্দেশনা পেয়ে তারাও বুঝতে পারছে না,কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয়,তারউপর অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণ উদ্ধেগজনক হারে দিন দিন কমছে। অনলাইনে ক্লাসের জন্য অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন দিয়েছিলো কিন্তু এখন এটাই হয়েছে ‘শনির দশা’।
এখন ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করা বাদ দিয়ে বিভিন্ন গেমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে।তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে, এবং অন্যান্য খারাপ কাজে নেশাক্ত হয়ে পড়ছে।
যদিও ক্লাস এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের জন্য এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সেটা কতোটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে তা নিয়ে সুশীল সমাজ চিন্তিত! অনেকেই এই এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে করছে, অনেকেই টিউটর দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে ,দোকান থেকে ফটোকপি করে কিনে জমা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আইসিটির অভিজ্ঞতা কম থাকায়,জুম ক্লাস নেওয়া, অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া এসব যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু অনেক শিক্ষক পারছে না।
ব্যানবেইসের জরিপে দেখা গেছে, এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগন অপেক্ষাকৃত আইসিটি সেক্টরে ভালো করছে এবং তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে তারা অনলাইনে এক্টিভ বেশি থাকছে।
তাই সম্প্রতি ৩৮ হাজার সুপারিশকৃত শিক্ষকগণকে অতি দ্রুত পুলিশ ভেরিফিকেশন করে সুপারিশ পত্র দিয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করলে এ সংকট কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠা সম্ভব বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মত প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষা বিসিএসের আদলে হওয়ার অনেক মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।মেধার জোরে তারা পিছিয়ে নেই কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিবন্ধনধারীদের মানসিক চাপ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যদিও ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি বললেও বাস্তবে এনটিআরসিএ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করতে পেরেছেন।
এখন সুপারিশকৃত শিক্ষকগণকে পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু সুস্পষ্টভাবে কোন কিছুই জানা না যাওয়ায় অনেক সুপারিশকৃত শিক্ষকগণ দুঃচিন্তা করছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন করার নামে যেন হয়রানিমূলক কোন কিছু না করা হয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ