নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:২৬/০৭/২০২১ ইং।
১৫৩২৫ টি পদের কি হবে? এর মধ্যে নারী কোটা ৬৭৭৭ এবং জেনারেল কোটায় ৮৪৪৮ টি পদ। এটা যেন এক প্রহসনের সুপারিশ।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গত ১৮ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির ফলাফল প্রকাশ করেছে। তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তিতে মোট ৫২ হাজার ও ১৩তমদের সংরক্ষিত ২২০৭ টি পদের সুপারিশের কথা থাকলেও ৩৮২৮৬ টি পদের সুপারিশ করে ।
বাকী ১৫৩২৫ টি পদে কোন আবেদন না পড়ায় সে সকল প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করতে পারে নি।
এদিকে সারা বাংলাদেশে ১-১২ তম,১৩তম,১৪তম,১৫তম মিলে প্রায় ৯০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে কিন্তু প্রার্থীরা ঠিক মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তে আবেদন করতে না পারায় তারা সুপারিশ পায় নি।
এখন প্রার্থীদের অভিযোগ তারা ঠিক মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাছাই করতে পারে নি এটা এনটিআরসিএ বলছে কিন্তু কোন পোস্ট গুলো তে আবেদন কম পড়ছে বা পড়ে নি এটা জানার সুযোগ না থাকায় তারা বুঝতে পারে নি। এনটিআরসিএ এর উচিত পরবর্তী তে এই বিষয়টা উন্মুক্ত করার অনুরোধ করছে।
একটা পোষ্টের বিপরীতে হাজার হাজার আবেদন পৃথিবীর আর কোথাও এই সিস্টেম নেই বলে জানিয়েছেন।
১-১৫তমদের কম্বাইন্ড মেরিট লিস্ট তাহলে কেন করলো? মেরিট লিস্টে আগে থেকে এবং সিরিয়ালে আগে থাকা সত্ত্বেও কেন তারা শুধু প্রতিষ্ঠান চয়েজ বুঝতে না পড়ার কারনে তারা নিয়োগ পায় নি?
মেরিট লিস্টে অন্তর্ভুক্ত থাকা ইনডেক্সধারীরা বার বার আবেদন করাও অনেকের নিয়োগ না পড়ার কারন বলে অনেকেই মনে করে।
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে,১-১২তমদের ১৬৬ কন্টেম্প্ট মামলা এবং ১৩তমদের মামলার ঝুঁকি ঝামেলা পেরিয়ে প্রায় আড়াই বছর পর তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির রেজাল্ট প্রকাশ করেছে এখন এতো এতো সমস্যা থাকলে শিক্ষক শূন্যতা আদৌও কি পূরণ করা সম্ভব?
বিসিএসের আদলে প্রিলিমিনারি,রিটেন, ভাইভা পাশ করে যদি সিস্টেম এর জন্য প্রার্থীরা চাকরি না পায় তবে এর চেয়ে দুঃখ আর কি হতে পারে?
এ দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই! প্রিলি, রিটেন ভাইভা পাশ করে আবার হাজার হাজার আবেদন করে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেও জবের নিশ্চয়তা না থাকলে তাহলে এর চেয়ে খারাপ আর কি হতে পারে?
0 মন্তব্যসমূহ