Hot Posts

6/recent/ticker-posts

বাঁশ ও কাদা মাটি বান্ধব উন্নয়ন!

বাঁশ বাগানে মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ, চাঁদের জাগায় চাঁদ তো আছে বাঁশগুলোসব গেল কৈ ?

যতিন্দ্র মোহন বাগচী’র “কাজলা দিদি” কবিতার প্রথম দুটি লাইনকে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলা উপর্যুক্ত বাক্যাংশদ্বয় ২০০৯/১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের পঞ্চবার্ষিকী রডের বদলে বাঁশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার বিপরীতে এনটিভিতে প্রচারিত জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগীতায় এক বিতার্কিকের ব্যতীত হৃদয়ের আর্তনাদ। সেই বাঁশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার একটা রূপক পুনঃরাবৃত্তি যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহহীণদের জন্য প্রদত্ত খেলাঘর এক ইটবান্ধব মৃত্যুপুরী উপহার এবং সেইসাথে কাঁদামাখা নৌপথে গ্লু মিশ্রিত টেকসই কার্পেটিং ফর্মুলা সে এক অভাবনীয় আবিষ্কার।

রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয়করে, কৈ মাছের তেল দিয়ে কৈ ভাঁজা করে পরিবেশন করে নিজের দেওয়া উপহার বলে প্রচার করা তা হয়তো মেনে নিতে হল,কারন আপনার মাধ্যমেই প্রকল্পটা বাস্তবায়ীত হচ্ছে। কিন্তু আপনার বৃহদাকার আত্মার তুলনায় দেশের গৃহহীন জনগণকে দেওয়া ঘর এক জীবন্ত কবরস্থানের মতো ছলনাময়ী উপহার এই মন কখনো মেনে নিতে পারেনা। সামান্য বর্ষনেই যার অস্তিত্ব বিপন্ন এ কেমন উপহার ? শেষ পর্যন্ত আপনার চারপাশে থাকা চাটকের দল আপনার মান-সম্মানও চেটে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে।
আর রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের কথাতো আর কিছুই বলার অপেক্ষা রাখেনা। বঙ্গপোসাগরের উপর দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা একমাত্র বাংলাদেশেরই পক্ষে সম্ভব তা উপরের আলজাজিরা ফেসবুক মাধ্যম প্রচারিত ছবি থেকেই বুঝা যাইতেছে। আর জলন্ত প্রমানতো আমাদের চোখের সামনেই আছে জগন্নাথপুর টু কেওনবাড়ি পর্যন্ত ইট মিশ্রিত টেকসই রাস্তা যা সংস্কারের একমাস যেতে না যেতেই ফাটল ধরেছে ।

জনৈক এক দায়িত্বশীল যখন সাংবাদিকের দিকে প্রশ্নছুড়ে দেন, এমন কাজটা কে করলো ??? তখন বোকা রামচন্দ্র অট্টহাসি দিয়ে বলে তবুও দেখতেছি, গাইতেছি, সুর মিলাইতেছি বাঁশ আর কাঁদামাটি বান্ধন উন্নয়নের জয়োগান। জয় বাংলা !!!

লেখক: সৈয়দ তানজিদ রিবান, প্রভাষক,আইসিটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ