এক ঈদগাহের আর্তনাদ আজ দু বছর হয়ে যাচ্ছে আমাদের ধুবুলিয়া ভুয়াপুর টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় ঈদগা টি বিরানভূমি পড়ে আছে।কোন সেজদা কারী ললাট তাকে স্পর্শ করেনি।
তাই অজস্র বেদনায় বেদনার্ত তার প্রতিটি বালুকণা, সেই সাথে ভারাক্রান্ত প্রতিটি মুসল্লির হৃদয়, বেদনাক্লিষ্ট তাদের মন ও মনন।
কারণ, ঈদগা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য কত শত বছরের ঐতিহ্য তা আজ সবার প্রশ্ন সকলের বিস্ময় অপরদিকে তার সৌন্দর্য যেন রূপকথার গল্প। কোন সুদক্ষ শিল্প কারের অনুপম তুলিতে আঁকা। তিনদিকে যার জল একদিকে স্থল।
যেন কোন উপদ্বীপ, নামাজে যথায় মুসুল্লিরা উপস্থিত হয় জল ও স্থল দুপথে এবং অবতারণা হয় অপূর্ব এক দৃশ্যের। সে দৃশ্য খুবই উপভোগ্য ও মনমুগ্ধকর। উপরন্তু স্বচ্ছ নির্মল হিমেল হাওয়া, পাখির কলতান, মাছের ঝাঁক, আনন্দ উচ্ছাস, হাঁসের বিরামহীন সাঁতার কাটা, নীল আকাশে উড়ন্ত মেঘের ঘনঘটা, দৃষ্টিকাড়া ফুটন্ত লাল সাদা শাপলার মেলা ডুব দিয়ে ছেলেমেয়েদের শালুক তোলা, বিলের বুক চিরে ছোট ছোট নৌকার আনাগোনা এসবই আমাদের ঈদগাহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঘটায় এবং যোগান দেয় অজস্র সাহিত্যকর্মের।
এমন একটি ঈদগাহর সাথে ঈদের নামাজের পরিচয় হয় আমাদের সবার তাই অন্যত্র ঈদের নামাজ পড়লে মনে হয় যেন নামাজ পড়াই হয়নি। মধ্যগগন ঘুরে সূর্য যখন পশ্চিম আকশে যাত্রা করে দিনের উপর তখন কোমল আভা ছড়িয়ে পড়ে স্নিগ্ধ বাতাস সবাইকে হাতছানি দিয়ে ডাকে, সে ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষজন বেরিয়ে পড়ে মাঠে ঘাটে নদীবন্দরে ও সমুদ্র সৈকতে।
প্রতিদিনের ন্যায় আমরা আজো বের হয়েছিলাম বিকেলের হিমেল হাওয়ায়। হঠাৎ মন চাইলো ঈদগাহের সৌন্দর্য উপভোগ করতে, আমি প্রস্তাব পেশ করলাম সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে গেল।
চললাম দ্রুতগতিতে দেখলাম পথের দু’ধারে অনেক পরিবেশ বদলে গেছে কিন্তু সারি সারি বৃক্ষরাজি কে মনে হচ্ছিল পরিচিত আমাদের যেন তারা অভিবাদন জানাচ্ছে এবং ঈদগাহের বেদনার্ত অবস্থার সংবাদ দিচ্ছে।
দ্রুত আমরা ঈদগাহে পৌঁছে গেলাম এবং তার শোভা সৌন্দর্য দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম। হৃদয় আমাদের পুলকিত হলো ও তার হিমেল হাওয়ার কোমল পরশ অন্তরাত্মা ছুঁয়ে গেল।
আমরা অভিভূত হলাম সারা মাস জুড়ে সবুজের গালিচা বিছানো ছিল আমরা একপাশে বসে পড়লাম আলাপচারিতা ও বাদাম রাখার মধ্য দিয়ে সময় কেটে গেল।
ততক্ষণে সূর্য গোধূলি লগ্ন পেরিয়ে পশ্চিম আকাশে হারিয়ে গেছে এবং অন্ধকার তার কৃষ্ণ ডানা মেলতে শুরু করেছে। তবুও কেউ ছেড়ে যেতে চাচ্ছে না সবার এক কথা আজকের মাগরিবের নামাজ খোলা ময়দানে নীল আকাশের সামিয়ানা তে পড়ে যাব।
অবশেষে তাই হল আমরা যুবক সেখানেই জামাত করলাম অভূতপূর্ব এক অনুভুতির সৃষ্টি হলো। কোরআন তেলাওয়াত তৃপ্তি পেলাম, নামাজ শেষ হলো, আমরা বাড়ির পথ ধরলাম তখন আমাদের কেউ বলে উঠলো নিশ্চয়ই আল্লাহ এজমিনের আর্তনাদ শুনেছেন তাই কুদরতীভাবে নামাজের এন্তেজাম করেছেন।
কোন সুদর্শন শিল্পের অনুপম তুলা আঁকা। তিনজনের যার জল একনি স্থায়ী। যে কোন উপদ্বীপ, নামাজের যুবলীগ মুসুল্লিরা উপস্থিত হয় জল এবং স্থায়ী দুপাশ এবং অবতীর্ণ হয় অপূর্ব এক দৃশ্যের। সে দৃশ্য উপহার ও মনমুগ্ধকর।
অতিরিক্ত স্বচ্ছ নির্মল হিমেল হাওয়া, পাখি কলতান, মাছের ঝাঁক, আনন্দ উচ্ছাস, বিরামহীন শান্তি, নীল আকাশ, মেঘলা ডুবে যায়, শালুক, বিলের বই চার্চ ছোট ছোট আনাগোনা শহর এমন একটি ঈদগাহর নামজারীর সাথে আমাদের সবার অন্য নাম হয়, যা মনে হয় যে, আমাদের নাম নেই।
মধ্যমগ্ন সূর্য যখন আকাশের উপর দিয়ে যায় তখন ঘুম থেকে ওঠা যায় আজকের দিনে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম আমার মন চাইলো ঈদগাহের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে, আমি সিদ্ধান্ত নিতে রাজি হয়ে গেলাম। চললাম দ্রুতগতিতে দেখলাম পথের দু ‘ ধারা অনেকটা বদলে গেছে কিন্তু সারাবিশ্বের কথা মনে হয় দ্রুত আমরা ঈদগাহে যাচ্ছিলাম এবং তার শোভা সৌন্দর্য দেখা যাবে।
হৃদয় আমাদের পুলকিত ও তার হিমেল হাওয়ার কোমল পরশ অন্তরাত্মা ছুঁয়ে গেল। আমরা অভিভূত হলাম মাস জুড়ে সবুজের গালিচা বিছানো ছিল আমরা একপাশে পড়েছিলাম।
ডেলিভারি সূর্য গোধূলি লগ্নার আকাশে চলে গেছে এবং অন্ধকার তার কৃষ্ণ ডানা মেলতে শুরু করেছে। আজকের মাগরিবাড়ির নাম খোলা ময়দানে নীল আকাশের সামিয়ানা পড়ে আছে। অবশেষে তাই হল আমরা উদযাপন করছি কোরআন তেলাওয়াত তৃপ্তি, নামাজ শেষ সময় ।
0 মন্তব্যসমূহ