বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করেছে গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখে। ৩৮ হাজার ৩ শত ৮৬ জনের বিশাল নিয়োগে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
এখানে ভুল চাহিদা দেওয়া ও ভুল সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবে না বলে অভিযোগ করেছেন। এ ভুলের চোরাবালিতে আটকে অনেক শিক্ষকের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, বার বার এনটিআরসিএ থেকে চিঠি ও ফোন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতন করা সত্ত্বেও অনেক প্রধান শিক্ষক না বুঝেই চাহিদা দিয়েছে,নারী কোটা থাকা সত্ত্বেও জেনারেল কোটায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করেছেন আবার অনেক শিক্ষক কোটা না সত্ত্বেও কোটায় শিক্ষকের আবেদন করেছেন এখন এদের দায়ভার কে নিবে?
এনটিআরসিএ কে বিষয়টি জানানো হলে তারা বলেন এ দায়ভার আমাদের নয় এটা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব! আমাদের কাজ হলো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা, ফলাফল ও চাহিদা অনুযায়ী সচ্ছতার ভিত্তিতে সুপারিশ করা বাকি সব দায়িত্ব মাউশির ও প্রতিষ্ঠানের।
কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি জেনারেল কোটায় আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছি এখন প্রতিষ্ঠানে এসে দেখি এটা নারী কোটা এখন আমার কি এমপিওভুক্ত হবে? এমপিওভুক্ত না হতে পারলে এ দায়িত্ব কার?
সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,এটাই আমার শেষ আবেদন ছিল, আমার বয়স শেষ এখন আমার এমন একটি সময় যে একটা জব হলেই হলো! এখানে সুপারিশ পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম এখন আমার সব স্বপ্ন শেষ! আমি এখন কি করবো? এরকম আরো অনেকেই রয়েছেন।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক থাকতেও প্রতিষ্ঠান প্রধান এর ভুল চাহিদার কারণে তাকে সুপারিশ করা হয়েছে এখন একই পদে দুজনের এমপিওভুক্ত হবে কি? এখানে সুপারিশ না করলে আমি অন্য প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পেতাম,এখন আমার কি হবে?
প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ ফোন ধরেই কেটে দিচ্ছে, এখন ভুক্তভোগীরা কোথায় যাবে?
0 মন্তব্যসমূহ