বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম চড়চড় করে বাড়ছে। মিনিকেট চালের দাম ৬০-৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৬-৫০ টাকা কেজি, ১ কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭০-৭৫ টাকা, ১ কেজি সয়াবিন তেল ১৪৫-১৫৫ টাকা, ১ কেজি পাম তেলের দাম ১২৫-১২৮ টাকা, প্যাকেটের ময়দার দাম ৪৭-৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগী ১৭০-১৮০ টাকা, দেশি মুরগী ৪৫০-৫০০ টাকা ইত্যাদি। ১ মাস আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ, মিনিকেটের চালের দাম ১ মাসে বেড়েছে ৪.১৩ শতাংশ, বয়লার মুরগীর দাম বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ ইত্যাদি।
এভাবে প্রতিটি পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে। আর কাঁচাবাজারের ধারেকাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। সবজিতে হাত দেওয়ার অবস্থা নেই, প্রায় প্রতিটি সবজির কেজি ৭০-৮০ টাকা। আর মাছ, গরু- ছাগলের মাংসের দিকে চোখ রাখা গরীবদের জন্য একপ্রকার পাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে মানুষের আয়-উপার্জন কমেছে, কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা। অনেকে ৩ বেলার জায়গায় ২ বেলা খেয়ে বেঁচে আছে। বিভিন্ন জায়গায় খাদ্যকষ্টে আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছে।
কাজকর্ম হারিয়ে অনেকে রাজধানী ছেড়ে ইতোমধ্যে গ্রামে চলে গেছে। ঢাকা শহরে বাসাভাড়া না দিতে পেরে পিকাপে করে জিনিসপত্র নিয়ে গ্রামে চলে যাওয়ার চিত্র এখন রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। যারা কিন্ডারগার্টেন কিংবা প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করতো, তারা বেশ কষ্টে রয়েছে। যারা সরকারি চাকরি করে, তারা ছাড়া দেশের কর্মজীবী, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ী শ্রেণীর কোন মানুষই ভাল নেই।
মানুষ আজ অপুষ্টি ও ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগছে।
মানুষের এই ক্ষুধা কষ্ট নিবারণের জন্য সরকার কতোটুকু ভূমিকা রাখছে? বাজার মনিটরিং ও দ্রব্য মূল্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার ব্যর্থ কেন ?
বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।
এভাবে ২ দিন পর পর পণ্যের দাম বাড়ার দায় সরকার কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারেনা।
0 মন্তব্যসমূহ