Hot Posts

6/recent/ticker-posts

খালেদা জিয়াকে উন্নয়নের কারিগর বলে পদ হারালেন আ.লীগ নেতা

 


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে 'উন্নয়নের কারিগর' আখ্যায়িত করায় যশোরের মনিরমপুর উপজেলার চালুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাইকে দলীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


আবদুল হাইয়ের এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর গতকাল (২৯ মার্চ) মনিরমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান তাকে দল থেকে বরখাস্ত করেন।



তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডের পদত্যাগপত্রে সভাপতির স্বাক্ষর থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নেই।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণহত্যার দিন ২৫ মার্চ মনিরমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  চালুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই তার বক্তব্যে এক পর্যায়ে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নের স্থপতি।


পাশ থেকে কেউ তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে তার বক্তব্য সংশোধন করে বললে আবদুল হাই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'দেশের উন্নয়নের স্থপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা।


যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মনিরমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিকাইল হোসেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গৌর কুমার ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক তপন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।  ঈমান বাতাসের মতো।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, আবদুল হাই তার বক্তব্যের সময় ফক্সকে যা বলেছেন তা অবশ্যই ভুল।  তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বহিষ্কার করতে পারেন না।


উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, দলীয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রস্তাব পাঠালে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা কাউকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে পারবেন।


এ বিষয়ে আব্দুল হাই সাংবাদিকদের বলেন, আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মী।  দলের জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা আমাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ দিয়েছেন।  গণহত্যার দিন ২৫ শে মার্চের সভায় আমি যা বলেছিলাম তা আমি তৎক্ষণাৎ সংশোধন করেছি।  তারপরও যদি কেউ আমাকে ব্যক্তিগত বিরক্তি থেকে বরখাস্ত করে, আমার কিছু বলার নেই।  শিরোনাম না থাকলেও শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিকের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করব।


মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত।  একটির নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্য, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী।  অপরটিতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন।  পদ হারানো চালুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের অনুসারী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ