নামেই ঐতিহ্যের লড়াই, মাঠে নেই কোনো রোমাঞ্চ কিংবা উত্তেজনা। দর্শকের চেয়ে বেশি ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের সংখ্যা। এমন নিরুত্তাপ ম্যাচে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। ২৫৬ রানের লক্ষ্য ২২ বল আগে টপকে যায় আকাশি-নীলরা। এই হারে সুপার সিক্সের স্বপ্নটা কঠিন হলো তারকায় ঠাসা মোহামেডানের।
ম্যাচর শুরুতেই নজর কারেন পাকিস্তানের চল্লিশ পেরোনো ব্যাটার মোহাম্মদ হাফিজের ইনিংস। তার সাথে রুবেল মিয়ার ১১৫ রানের জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দেয় মোহামেডানের। হাফিজের ৭০ আর রুবেলের সংগ্রহ ৫১। তবে শেষ দিকে রানের চাকা ছোটাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা। শেষ পর্যন্ত তার ৪২ রানে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫৫।
এমন ম্যাচেও অবশ্য ডাগআউটে বসে থাকতে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। ঘরোয়া লিগের একাদশে বাদ পড়া হয়তো সৌম্যর জন্য নতুন অশনি সঙ্কেত। তবে মুনিম শাহরিয়ার প্রথম তিন বলেই তিন চারে সহজ ম্যাচের ইঙ্গিত দেন। তবে ৩১ রান করেই তুষ্ট থাকতে হয় এই ওপেনারাকে। এরপর হনুমা বিহারির ৫৯ আর অনিকের ৬০ রানে আবাহনীর দিকে হেলে যায় ম্যাচ। সেখান থেকে আফিফের হার না মানা ৪৮ আর সৈকতের ৫২ রানে ২২ বল আগে সহজ জয় আবাহনীর।
এই হারে সুপার সিক্সের স্বপ্নটা কঠিন হলো তারকায় ঠাসা মোহামেডানের। শেষ ৩ ম্যাচেই জেতার বিকল্প নেই রিয়াদ-মুশফিকদের।
0 মন্তব্যসমূহ