মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারও অবদানকে আওয়ামী লীগ শিকার করতে চায় না।
ইতিহাসের নামে তারা সর্বত্র একজনের নাম প্রচার করে। মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতা, প্রবাসী সরকার, মেজর জিয়া, অসম র্যাবের অবদান লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দোহাই দিয়ে তারা তাদের অপকর্মকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, যারা এই সংসদে অধিবেশনের নামে জনগণের টাকা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করে, তারা শয়তানের চেয়ে বেশি আর কী হবে। কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়।
সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের ঘোষণা হবে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু সরকার দেশে মাফিয়া প্রতিষ্ঠা করেছে। পুলিশ কর্তারা রাজনৈতিক লোকজনের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন।
চেকআপের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সিঙ্গাপুর যান, আর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন হতদরিদ্র মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রয়োজনে জীবন দিতে চাই। আমি বলব তোমাকে জীবন দিতে হবে না, আমরা তোমার জীবন রক্ষা করব। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। না হলে মানুষ ভুলে যাবে যে, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।
১১ জনের সংস্কারপন্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া ৩০ বছর ধরে দলের ক্ষমতা ধরে রেখে নিজেদের সন্তান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
যাঁরা এই সময়ে সংস্কার করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। মানুষের অধিকার নিয়ে আসুন। আমরা তৃতীয় শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে চাই।
0 মন্তব্যসমূহ