সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হল কর্তৃপক্ষের কাছে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগ দেওয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হল কর্তৃপক্ষের কাছে “নির্যাতনের” অভিযোগ দেওয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হলছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে রাতেই প্রশাসনের উদ্যোগে ওই ছাত্রকে আবার হলে তোলা হয়।
সোমবার (৪ এপ্রিল) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজিমুল হক ওরফে রাকিব নামের ওই শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার পর তার বই-খাতা, টেবিল ও কাপড় হলের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়।
এর আগে ১ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর সিকদার রাকিবকে ডেকে নিয়ে “নির্যাতন” করেন। পরে সোমবার রাকিব হল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান এবং নিরাপত্তা চান।
পরে এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা ছাত্রলীগ নেতা তানভীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজিমুল হককে কর্মসূচিতে থাকতে বলেছেন শুধু। তাকে কোনো ধরণের মারধর করা হয়নি। রাকিব তার “স্নেহের ছোট ভাই”। তাকে কেউ মারধর করে থাকলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এদিকে ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় তানভীরের অনুসারী নাফিজ ও হাসান আহমেদ রাজুসহ আরও কয়েকজন রাকিবকে জোরপূর্বক হল থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে রাকিব বলেন, “ইফতারের পর নাফিজ ও রাজুর নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে হল থেকে বের করে দেয়।”
অভিযোগের বিষয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, “ঘটনাটি শোনার পর আমি কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে ওই শিক্ষার্থীর কাছে পাঠিয়েছি। তাকে হলে তুলে দেওয়া হবে।” রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসএম হলের আবাসিক শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, “আমরা হলে গিয়ে রাকিবকে তার কক্ষে তুলে দিয়ে এসেছি।”
রাকিবকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে হল ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর সিকদার বলেন, “হল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ রইল।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাজিমুল হক রাকিব সোমবার বলেন, “আমি হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বেলা তিনটার দিকে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে সন্ধ্যায় আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। রাত ১১টার পরে হল প্রশাসনের উদ্যোগে হলে ফিরে এসেছি।”
0 মন্তব্যসমূহ