Hot Posts

6/recent/ticker-posts

যে কারণে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্যের সুযোগ পাননি হুম্মাম কাদের

 

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িতে আজ বুধবার তারুণ্যের সমাবেশ করেছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সমাবেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদেরকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তাঁর সমর্থকেরা কয়েক দফা হট্টগোলও করেন। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। 


হুম্মাম কাদের বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাঁর সমপর্যায়ের অনেক নেতাকে বক্তব্যের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও হুম্মাম কাদের থেকেছেন উপেক্ষিত বলে দাবি করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি সমর্থকদের শান্ত করেন।


আরিফুল ইসলাম নামের রাউজানের বিএনপির এক সমর্থক বলেন, ‘বিএনপির জন্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর পরিবারের ত্যাগের ঋণ শোধ হওয়ার মতো নয়। হুম্মাম বিএনপির আইডল। ত্যাগী ও নির্যাতিত এই পরিবারের প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে, আজ হুম্মাম কাদেরকে বক্তব্য দিতে না দিয়ে।’ 


এ বিষয়ে হুম্মাম কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বক্তব্য দিতে না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমাকে কেন বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেয়নি, সেটি কেন্দ্রীয় নেতারা ভালো বলতে পারবেন।’ 


বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করকে কল করেও এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী। সমাবেশস্থলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বিপুলসংখ্যক অনুসারীর উপস্থিতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। এর আগে পলোগ্রাউন্ড মাঠের সমাবেশে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা হয়। সে সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, এটা তাঁর নিজস্ব বিষয়।


হুম্মাম চৌধুরীর বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়। তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ