Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সরকারের পদত্যাগের ব্যাপারে যে পরিষ্কার কথা জানিয়ে দিলেন ইসলামী আন্দোলন।

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বুধবার রাজধানীতে এক গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির আমির ও চরমোনাইর পির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এমন ঘোষণা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীন নয়, জাতীয় সরকারের অধীন হতে হবে। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচন কমিশন অভিমুখে এ পদযাত্রাটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু পদযাত্রার আগে দলটির নেতাকর্মীরা সেখানে সমাবেশ করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ১২টা ২০ মিনিটের দিকে শান্তিনগর মোড়ে যাওয়ার পর পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানেই সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সংক্ষিপ্ত বত্তৃদ্ধতা করে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করেন।


বায়তুল মোকাররমের সামনে পদযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুস্থ নন। বরিশাল সিটির নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর নির্মম ও অযৌক্তিকভাবে হামলা-আক্রমণ হয়েছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কোনো অনুশোচনা নেই। উলটো তিনি সাংবাদিকদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘তিনি (মেয়রপ্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন।’


ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, কোনো বিবেকবান মানুষ তার (সিইসি) এ বক্তব্যকে সমর্থন করতে পারেনি। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় তিনি সুস্থ নন। তার পদত্যাগের জন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হবে।


সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বরিশাল ও খুলনা সিটির নির্বাচনেও ভোট ডাকাতি হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন একজন প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা ভোটারদের নিরাপত্তা দেবে কীভাবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারকেও পদত্যাগ করতে হবে।


পদযাত্রায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান ছাড়াও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, নুরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম-মহাসচিব আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ বত্তৃদ্ধতা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ