খুলনায় অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) খুলনার খালিশপুর থানা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত এবং বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। আমেরিকায় বসে ফেসবুকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুলনায় তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুজন ভাড়াটিয়া প্রতিবাদ করতে আসায় তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খালিশপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ ধর্মীয় উগ্রপন্থি বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, রেজিস্টার ও অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ল্যাপটপ, পাসপোর্ট ও ৪টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রকিবুল ইসলাম (২৪), মো. তামিম ইকবাল (১৯) ও আনিছা সিদ্দিকা (৪৫)। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তার আনিছার পরিবার অভিযোগ করেন, খুলনার বয়রা এলাকার হাজী ফয়েজউদ্দিন সড়কে তার নানাবাড়িতে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে তাণ্ডব চালায় ও লুটপাট করে। দুটি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তার মামা সিদ্দিক শহীদকে মারধর করে। এ সময় মা আনিছা সিদ্দিকা প্রতিবাদ জানানোয় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় দুজন ভাড়াটিয়া এগিয়ে আসায় তাদেরও সঙ্গে নিয়ে গেছে।
তবে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে খালিশপুর থানার ওসি মনিরুল গিয়াস কালবেলাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর ফয়েজ উদ্দীন সড়কের ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একজন নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। স্ট্যাটাসের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নাই। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ