শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, দক্ষিণ ককেশাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া। আমাদের সীমান্তের কাছে ন্যাটো সদস্যের সামরিক অবকাঠামো মোতায়েন আমাদের বিশেষ মনোযোগ দাবি করে। একই সাথে এটি আমাদের নিরাপত্তা ও স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিতের পদক্ষেপ নেয়ার কারণও তৈরি করে।
গত বছর আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তখন আজারবাইজানকে সমর্থন জানায় তুরস্ক। আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
মঙ্গলবার তুরস্ক ও আজারবাইজান সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে রাজি হয়েছে। আজেরি প্রেসিডেন্ট আলীয়েভ জানান, এসব সমঝোতায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও জ্বালানি ইস্যু রয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আজারবাইজান ও তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত ও দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আজারবাইজানে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি গড়ার বিষয়টি বাতিল করে দেননি। তিনি বলেন: এ ব্যাপারে আগামীতে অগ্রগতি হতে পারে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ককেশাস সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিলো। রাশিয়া অঞ্চলটিতে প্রভাব বজায় রেখে আসছে। গত বছর আজারী-আর্মেনীয় সংঘাতের পর, নাগোর্নো-কারাবাখে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছে মস্কো।
সাইফুল ইসলাম রুবাইয়্যাত।
সূত্র: রয়টার্স।
0 মন্তব্যসমূহ