ধর্মীয় বক্তা আবু তুওয়াহা মুহাম্মদ আদনান গাইবান্ধায় বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে, কিন্তু বন্ধু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না। সিয়াম বিন শরীফ নামে ওই বন্ধুটি কাজের কারণে রংপুরে থাকেন। তিনি বলেছেন, তিনি টুয়া-হারের সন্ধানে রংপুরে দুটি মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন। এখন দুর্ঘটনার কারণে সিয়াম চাকরি হারিয়েছেন।
সিয়াম ছয় মাস আগে রংপুর মোবাইল অপারেটর হিসাবে অফিসার হিসাবে যোগদান করেছিলেন। রবিবার তার মোবাইল ফোন তাকে কল করলে তিনি চাকরি হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিয়াম জানান, তাঁর বাড়ি গাইবান্ধায়। তবে চাকরির কারণে তিনি এখন রংপুরে বসবাস করছেন। আবু তাওহা আদনান তার স্কুল জীবনের বন্ধু। তিনি জানতেন না যে তাঁর বাড়িতে চারজন লোক রয়েছে। বন্ধু তাকে জানায় নি। এমনকি তাঁর মা (সিয়াম) তাকে তার সম্পর্কে কিছুই বলেননি। তাঁর বন্ধু তাবার অন্তর্ধানের কথা শুনে তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন। তার সন্ধানের জন্য রংপুরে দুটি মানববন্ধন ছিল। এতে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। শুনে তিনি অবাক হয়ে গেলেন তাঁর বাড়িতে চারজন লোক রয়েছেন।
সিয়ামের একটি ১০ মাস বয়সী শিশু রয়েছে। আমি চাকরী হারিয়ে যাওয়ার পরে আমার খুব খারাপ লাগছে। বিশেষ করে শিশুর সাথে এখন কী করা উচিত তা তিনি ভাবতে পারেন না। তিনি যখন এই কথা বলতে গেলেন, তখন তাঁর চোখে জল বেরিয়ে গেল। একপর্যায়ে তিনি ফোনটি রেখে যান।
মোবাইল ডিভাইস সংস্থা রংপুরের আঞ্চলিক পরিচালক সাইফ ইসলাম সিয়ামের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেছিলেন, ধর্মীয় বক্তাদের বিষয়টি দেশের একটি আলোচিত বিষয়। শনিবার রাতের উপবাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে।
আবু তুহা আদনান ও তার পরিবার রংপুরে থাকেন। তিনি ১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন তার মা আজিদা বেগম রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করেন।
প্রথম আলোকে আজিজা বেগম বলেছিলেন যে তার ছেলে ইন্টারনেটে আরবি পড়ানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন মসজিদে শুক্রবারের খুতবা দিচ্ছিল। তিনি ১০ জুন সন্ধ্যা ৪ টার দিকে ভাড়া গাড়িতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রংপুর ছেড়েছিলেন। তার সাথে তার দুই সহযোগী আবদুল মুহিত ও ফেয়ারউজ আলম ছিলেন চালক ছিলেন আমির আল-দীন। দুপুর ২:৩৭ মিনিটে তার স্ত্রী তুয়া হা ডাকেন। তখন তিনি বললেন যে এখন তিনি গাবতলী ঢাকায় রয়েছেন। মোবাইল ফোনের চার্জিং প্রায় শেষ। তার পর থেকে টিবি-হাসাহসহ চারজনের মোবাইল ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। এই দুর্ঘটনার আট দিন পরে শুক্রবার চারজনকে তাদের বাড়িতে পাওয়া গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ