যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান-তুরস্ক উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ব্যুরো: আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যত খারাপ হচ্ছে, তেমনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার সংকটও বাড়ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে একদিকে যেমন গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে যারা আফগানিস্তানে থাকতে চায় না তাদের সংখ্যাও বাড়ছে।

 

দেশের অনেক মানুষ মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করে। এখন যুক্তরাষ্ট্র চায় যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানরা পাকিস্তান বা তুরস্কে আশ্রয় চাই। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে তার সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানায়। কিন্তু পাকিস্তান ও তুরস্ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারবে না। ভোরবেলা।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে তার সীমান্ত খোলা রাখুক যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান শরণার্থীরা দেশে আশ্রয় নিতে পারে। মার্কিন দাবি ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানের মতো দেশ, যা আফগানিস্তানের সীমানা রয়েছে, তারা তাদের সীমান্ত খোলা রাখতে পারে। তখন আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ ভয় ছাড়াই সেখানে আশ্রয় নেবে। আফগান নাগরিকদের জন্য মার্কিন শরণার্থী ভর্তি কর্মসূচিতে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

কিন্তু তিনি বলেন, ইরান হয়েও শরণার্থীরা তুরস্কে যেতে পারে। তাদেরও এই সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে সরকার বা ইউএনএইচসিআরকে নিবন্ধন করতে হবে।

 

আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের পাশাপাশি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আফগান জনগণকে আফগানিস্তানে একটি নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে। কেন তাদের পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? কেন তাদের শরণার্থীতে পরিণত করা হচ্ছে? পাকিস্তান আর শরণার্থীদের জন্য অভয়ারণ্য দিতে পারে না।

 

-এই

0/Post a Comment/Comments

Stay Conneted