৩০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণেও হয়েছিলেন সেরা, পান বেস্ট প্রবিশনারি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। পেশাগত দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স অব পুলিশ সায়েন্সেও হয়েছিলেন প্রথম।
পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে কারো পিপিএম পদক গ্রহণ করা চাট্টিখানি কথা না। কেবল যোগ্যতা বলে তিনি পেয়েছেন।
৩০তম বিসিএসের কার্যক্রম যখন চলে তখন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরীক্ষায় প্রথম হন সাকলায়েন। একইসঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবেও টিকে যান, যোগ দেন সেই চাকরিতেই। পোস্টিং হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এইচএসসির পর সামরিক বাহিনীতে কমিশন পদে আবেদন করেন। সেখানে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন ৫৯ লং কোর্সে। তবে সামরিক বাহিনীর নিয়মতান্ত্রিকতা ভাল না লাগায় তাঁর মা’ই তাকে ফিরে নিয়ে আসেন।
আহারে গোলাম সাকলায়েন শিথিল। আহারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি। খপ্পর খুব খারাপ জিনিস। তা যদি হয় নারী খপ্পর তাহলে তো আরো ভয়ংকর। সারাজীবন কষ্ট করে তিলে তিলে অর্জন করা এতদিনের সম্মান, খ্যাতি- নিমিষেই শেষ হয়ে গেল!😥
এত মেধা এত শিক্ষা, এত জ্ঞান নিয়েও ইতিহাসের ট্রয়নগরী ধ্বংসের কথা ভুলে গেলেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পদ্মার পাড়ে মোক্তারপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া বেড়ে ওঠা শিথিল। একটা ভুলের খেসারত সাকলায়েন ভাই 😔
বর্তমানে পরীমনি কান্ডে নাম আসায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অপসারণ করা হয়েছে। পরীমনির তদন্ত করতে গিয়ে তার সাথে ঘনিষ্ঠতা থেকে বাসায় পর্যন্ত গভীর রাতে আসা যাওয়ার অভিযোগ আসে।
এর আগে, এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে তার ডিবির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
উল্লেখ্য, সাকলায়েন বিবাহিত এবং তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি জেলায় তার স্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।
©আনিসুর রহমান
0 মন্তব্যসমূহ