শিক্ষক নিয়োগে চরম জটিলতা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি যেন না হয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:১৯/০৭/২০২১ ইং।

 

শুভঙ্করের ফাঁকি কাকে বলে তা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিকে) না দেখলে বুঝা যায় না। এখানে কৃত্রিম ঝামেলা যে কি পরিমান তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না।

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা থাকলেও নিয়োগ দিয়েছে ৩৮ হাজার।

সবচাইতে জটিল এবং ঝামেলা পেরিয়ে ১০০% এর মধ্যে ১৯% প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারপর ১৯% থেকে ১০.৯৭% রিটেন টিকিয়েছে। আবার এই ১০.৯৭% থেকে ভাইভাতে টিকিয়েছে ৮৩.৮০% ।এখন যখন গনবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করলো তখন এর ৩৬% এর ফল প্রকাশ করলো।এটা কি পরিমান দুরুন্ধ কাজ!

আচ্ছা, বুঝলাম ১৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে আবেদন পড়েনি তারমধ্যে নারী কোটায় সাড়ে সাত হাজার আর জেনারেল কোটায় সাড়ে সাত হাজার তা হলে নারী কোটা রাখার দরকার কি? সেই জায়গাগুলো কি শিথিল করতে পারে না?

 

এখন আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে কি পরিমান হয়রানি করে তা দেখার বিষয়! পুলিশ ভেরিফিকেশন যদি করতেই হয় তবে আগের দুটি গনবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন হবে না?

কমিটি এবং গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের কেন ভেরিফিকেশন হবে না?

এখন এই সুপারিশকৃত শিক্ষকগণ যদি ভেরিফিকেশন থেকে বাদ পড়ে তাহলে তার ভবিষ্যৎ কী হবে?

লজ্জায় হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কি উপায় থাকবে?

পুলিশ ভেরিফিকেশন অবশ্যই ভালো উদ্যোগ তবে তা যেন হয়রানিমূলক না হয় তা অবশ্যই ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।

অযথা বাড়াবাড়ি করে একজন শিক্ষক যদি যোগদান না করতে পারে তবে তার দায় দায়িত্ব কার?

 

এখন পুলিশ ভেরিফিকেশন এর নামে সময় কালক্ষেপণ ছাড়া আর কি? এই কোভিট -১৯ পেনডামিক অবস্থায় শিক্ষা খাতের পুনর্গঠন ও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবশ্যই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে যোগদান করে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

0/Post a Comment/Comments

Stay Conneted