নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:২৮/০৭/২০২১ ইং, বুধবার।
পুলিশ ভেরিফিকেশন করার নামে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব!
গত ১৬/০৭/২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ও মুজিব শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ১ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে তৃতীয় চক্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে, যদিও ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় চক্রে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এনটিআরসিএ। এতো বেশি শিক্ষক নিয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম যেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
প্রথম ও দ্বিতীয় চক্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ( এনটিআরসিএ) নিয়োগের সুপারিশ করলেও সেখানে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কোন ঝামেলা ছিল না। বেসরকারি শিক্ষকগণ যেহেতু পূর্ণাঙ্গ সরকারি নয় একটা সরকারি ভাতার টাকা বা এমপিও ( মান্থলি পেইমেন্ট অর্ডার) দেয়া হয় সুতরাং এটা নিয়ে সরকারের এতো মাথাব্যথা ছিল না কিন্তু ইদানিং মুজিব শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা বৈষম্য দূর করতে বর্তমান সরকার জাতীয়করণ করার কানাঘুষা করছে সুতরাং এটা পূর্ণাঙ্গ সরকারি চাকুরির মতো পুলিশ ভেরিফিকেশন করা দরকার মনে করছে। এজন্যই তৃতীয় চক্রে যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এনটিআরসিএ কতোটুকু আন্তরিক তা তাদের কাজে প্রকাশ পাচ্ছে। এনটিআরসিএ এর সচিব বলেছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হবে কিন্তু এখনো শুরু করতে পারে নি। এটা নিয়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা দুঃচিন্তা করছে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে যেন হয়রানিমূলক কোন কিছু না করা হয় তা যদিও এনটিআরসিএ নির্দেশ দিয়েছেন তবুও তাদের দুঃচিন্তা হচ্ছে।
কখন ,কবে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হবে এ নিয়ে একাধিক গুজব ছড়িয়ে এক ধরনের অসাধু লোক সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আন অফিসিয়ালি কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,আমরা ইতোমধ্যে সুপারিশপ্রাপ্তদের লিষ্ট করা শেষ করেছি,এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে,সেখান থেকে জেলা উপজেলা ভিত্তিক পুলিশের বিশেষ ব্রাঞ্চ এ পৌঁছে যাবে তখনই ভেরিফিকেশন হবে। সুপারিশ প্রাপ্তদের দুঃচিন্তা করার কিছু নেই।তারা রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না থাকলে বা মামলা না থাকলে কিছুই হবে না,এটা একটা ইনফরমেশন কালেকশন।তবে আমরা দ্রুত করার জন্য অনুরোধ করবো।তারা গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে লিষ্ট পাঠালেই আমরা অনলাইনে সুপারিশপত্র দিয়ে দিবো।সবাই সুপারিশ পত্র ডাউনলোড করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবে।কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তারা হুঁশিয়ার করেন।
0 মন্তব্যসমূহ