বিসিএসের আদলে প্রিলি ,রিটেন ,ভাইভা পাশ করেও এবং হাজার হাজার টাকার আবেদন করেও দীর্ঘদিন ধরে ফল প্রকাশ করছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ( এনটিআরসিএ) ।নানান অজুহাতে দিনের পর দিন মাসের পর মাস পার করছে আর ওদিকে নিবন্ধন ধারীরা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয়ে মানসিকতা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মামলা জটিলতা না থাকা সত্ত্বেও কেন ফল প্রকাশে বিলম্ব করছে এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি।গতকাল এনটিআরসিএ এর একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও এবিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজী নয়। হতাশায় ভেঙে পড়ে নিবন্ধন ধারী একজন ইতিমধ্যে মারা গেছে এর দায়ভার কার?কয়েকজন নিবন্ধন ধারী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কয়েকজন পনেরো তম নিবন্ধনধারী এ বিষয়ে আমাদের ‘দৈনিক লোককথা ডটকম’ পত্রিকায়এ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন,এখন যেহেতু ১৬৬ কন্টেমধারীদের (২৫০০) জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১৩তমদের(২২০৭) জনের একক নিয়োগের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারতো কিন্তু তা না করে অযথা সময় নষ্ট করে নিবন্ধন ধারীদের হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। কয়েকজন ইমেইলে যোগাযোগ করে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছেন, কয়েকজন সরাসরি যোগাযোগ করে বলেছেন,আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ ছাড়া তারা ফল প্রকাশে গড়িমসি করছে।আমরা প্রায় তিন বছর ধরে নিয়োগ বঞ্চিত হয়ে আছি,অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদের বিপরীতে এই সময়ে আরো অনেক পদ শূন্য হয়েছে।এই কোভিট ১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম অবনতি দূর করতে অবশ্যই দ্রুত ফল প্রকাশ করে শিক্ষক সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই সপ্তাহে ফল প্রকাশ না করলে আমরা প্রয়োজনে ঈদের দিন প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল মিটিং প্রেস ব্রিফিং করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবো।এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই,আমরা চরমভাবে বঞ্চিত,তাই মেধাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এটাও একটা ট্রাম কার্ড হতে পারে এই সরকারের জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ