নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, তাং:১১/০৭/২০২১ ইং।
নোট: ১-১২ তম,১৩তম,১৪তমরা তবুও গনবিজ্ঞপ্তি পেয়েছে কিন্তু আমরা !! আমরা সব দিক থেকেই বঞ্চিত,আমাদের দ্রুত রেজাল্ট দিয়ে মানসিক যন্ত্রনা হতাশা থেকে রক্ষা করুন।
যদি জিজ্ঞেস করা হয় পৃথিবীতে এমন কোন জব বা চাকরি আছে যেখানে প্রিলিমিনারি,রিটেন,ভাইভা হওয়ার পরও চাকরিতে যোগ দিতে পারে না?
প্রশ্ন শুনে আপনি অবাক হবেন বা আর্শ্চায্ হবেন!
এটা আবার কোন ধরনের প্রশ্ন!
কিন্তু এমন সিস্টেম পৃথিবীতে আছে এবং সেটা স্বয়ং বাংলাদেশে! অবাক হওয়ার কিছু নেই,যারা এনটিআরসিএ এর অধীনে নিবন্ধন করে বেকার বসে আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন!
কতো যন্ত্রনা,হতাশা , মানসিক চাপের মধ্যে যে নিবন্ধনধারীরা আছে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না! ইতিমধ্যেই এনটিআরসিএ প্রমাণ করেছে তারা কতোটা অযোগ্য অথর্ব! একটা জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের জনবল, সিস্টেম, নীতিমালা সবকিছুই থাকবে ক্লাসিক কিন্তু এক্ষেত্রে এনটিআরসিএ যেন ভূতের পা! তারা পিছনে হাঁটছে। নিয়োগ সচ্ছতার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ গঠিত হলেও এখন এখানেই যেন সরষের মধ্যে ভূত! ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের কন্টেম মামলার ঝামেলা,১৩ তমদের একক নিয়োগের বিষয়টি উপেক্ষা করে সংকট তৈরি, পরে তাদের একক নিয়োগের সিদ্ধান্ত এরকম হাজারো সমস্যার মধ্যে জর্জরিত! সবচাইতে অবহেলিত নিবন্ধিত হলো ১৫তমরা।
বিসিএসের আদলে প্রিলিমিনারি,রিটেন ভাইভা পাশ করার পরও গত প্রায় তিন বছর ধরে নিয়োগ বঞ্চিত।
১৫তমদের প্রথম সার্কুলার হয়েছিল ২৮শে নভেম্বর ২০১৮ এবং ক্রমন্বয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা,রিটেন ভাইভা হয় এবং ভাইভা শেষে মেরিট লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হয় ২২ জানুয়ারি ২০২০ ইং। প্রায় তিন বছর ধরে নিয়োগ বঞ্চিত হয়ে তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে! অচিরেই নিয়োগ দেওয়া না হলে তাদের মানসিক অবস্থা আরো খারাপ হবে। নিবন্ধন পাশ করেই অনেকেই মনে করেছিল এই বুঝি চাকরিটা হলো, বেকারত্ব দূর হবে, পরিবারের হাল ধরতে পারবে কিন্তু সে আশা বিনষ্ট করে স্বপ্নের শিক্ষক হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
কতো মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা যে তাদের সহ্য করতে হচ্ছে তার ইয়াত্তা নেই! তাদের যেন দেখার কেউ নেই!
শান্ত,রাজু,সুমন ও গনবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশি ফোরামের সভাপতি সমন্বয়ক সেক্রেটারি ও সদস্যদের
অনেক আন্দোলন, মানববন্ধন কর্মসূচি, মিছিল মিটিং প্রেস ব্রিফিং করে যদিও গনবিজ্ঞপ্তি আদায় করতে পেরেছিলেন কিন্তু এখন রেজাল্ট প্রকাশ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। এমতাবস্থায় তাদের আরো মানসিক ক্ষতি থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে দ্রুত গনবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করার অনুরোধ করেছে অনেক ১৫তম নিবন্ধিত প্রার্থীরা।
১৬ তমদের নিয়ে আরো জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছে।যদিও চলমান পরিস্থিতিতে কোভিট -১৯ এর লকডাউনের আগে তাদের ভাইভা অর্ধেক হয়েছে বাকী অর্ধেক কখন হবে তারা নিজেরাও জানে না,জানে না এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যান সচিব ও কর্মকর্তারা!
তাদের ভাষ্যমতে চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের যথাযথ ভাইভা শেষ করে মেরিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিন্তু ১৬ তমদের অনেকেই চেয়েছিলেন চলমান গনবিজ্ঞপ্তিতে তাদের অন্তর্ভূক্ত হতে কিন্তু কোভিট ১৯ সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে।যদিও তাদের দাবি এনটিআরসিএ যদি চাইতো বা সদিচ্ছা থাকতো তবে আরো বাকী শূন্যপদ
নতুনভাবে তালিকা করে তাদের অন্তর্ভূক্ত করতে পারতো কিন্তু এনটিআরসিএ সে পথে হাঁটে নি এজন্যই আমারাও চরম দুর্ভোগে ও হতাশায় দিনাতিপাত করছি।
0 মন্তব্যসমূহ