সকল ধর্মের মানুষের উপরে চলমান রাজনৈতিক নির্যাতন এখন রাষ্ট্রের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্র পরিচালকের মূলনীতি; গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা
মহান স্বাধীনতা মূলধন সাম্য, মানবিক মার্যাদা ও সুখবর। যা অন্য কোন পরিপূরক।

কি, কি উদ্দেশ্যে সাম্য, মানিক মার্যাদা ও সহজ সুবিধা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অন্তর্ভুক্ত করা হবে না? যে মূলনীতির অবস্থান বাংলাদেশ স্বাধীন? লাখ০ জন মানুষ শহীদ হন, ২ জনে মায়েদের মধ্যে সফল হয়।

আজকের ধর্মনিরপেক্ষতা কল্যাণ্টু সাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধি হতে যাচ্ছে?
সংখ্যা গরিষ্ঠতার সংখ্যা লঘু, তাদের ধর্মীয় অধিকার কি হবে?
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমরা
‘ধর্ম যার’, যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা আছে

আজকাল ওয়াজমাহফিলে কতোটুকু বক্তব্য দেওয়া যাবে, কতোটুকু দেওয়া যাবেনা, মন্ত্রীরা সেসব নির্ধারণ করে দিচ্ছে, কুরআনের বাইরে কোন কথা বলা যাবেনা,
নামধারী আলেমরা ফতুয়া দিলে আলেমওলামাদের দাঁড়িটুপি শেভ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পুলিশ আনসাররা হেফাজত- জামায়াতের নেতাদের ওয়াজ শুনলে মোবাইল লাত্থিয়ে ফেলার কথা বলা হচ্ছে।
এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা?
নিজধর্মের মানুষদের যারা দাঁড়িটুপি শেভ করে দেওয়ার মত কথা বলতে পারে, তারা কতোটুকু ধর্ম নিরপেক্ষ হতে পারে, তা খুব সহজেই অনুমেয়।
আবার রাজনৈতিক ফায়দা লাভে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন তো প্রায়ই ঘটছে। সকল ধর্মের মানুষের উপরে চলমান রাজনৈতিক নির্যাতন এখন রাষ্ট্রের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

আর গণতন্ত্র? জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কিংবা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা কতোটুকু খর্ব হয়েছে, সেবিষয়ে আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।

জাতীয়তাবাদ ; জাতির ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হবে জাতীয়তাবাদ। কিন্তু জাতিগতভাবে আমরা কি ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি? বামাতি, জামাতি, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, ডানপন্থী, সুবিধাবাদী, সুশীল কতো নামে আজকে দেশের মানুষকে বিভক্ত ও বিভাজিত করা হয়েছে। তাহলে কোথায় জাতীয়তাবাদের চেতনা?

সমাজতন্ত্র; এমন একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রচলন যেখানে সম্পদ ও অর্থের মালিকানা সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থাৎ কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকে না। কিন্তু এটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হয়নি।

তাহলে সংবিধানের ৪ মূলমন্ত্র কি শুধু সংবিধানে উল্লেখ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি বাস্তবে প্রয়োগ হবে?

সময় মহান স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতার সময় উল্লেখ করা হয়েছে। একটি সামাজের সুবিধার্থে বা নায়বিচারের মধ্যে যদি অন্য উপকরণ অটোমেটিক্যালি আসে। রাষ্ট্রের মালিকানা একটি অনির্বাচনশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, যেখানে সাম্য, মানিক ম্যারাডা, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধি, সমৃদ্ধ অর্থ ব্যবস্থা, জাতীয় স্বতন্ত্র নিয়ম হবে।