Hot Posts

6/recent/ticker-posts

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে প্রতিবন্ধকতা কোথায়?

অনেকেই প্রশ্ন করে প্রাইমারি স্কুল আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয়করণ হয়েছে, তাহলে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বাধা কোথায়?

আরো পড়ুন:

ছাত্র নিপীড়নকারী শিক্ষিকাকে বহিষ্কারের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের অনশন : সমর্থন এইড ফর মেনের

নিবন্ধিত প্রার্থীরা প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ চায়!

নতুনভাবে এমপিওভুক্ত করতে emis/ memis cell এর জটিলতা; সংশোধন করতে অনুরোধ জানিয়েছেন নিবন্ধিত সুপারিশ প্রার্থীরা।

কেবল এই প্রশ্নের আলোকে কিছু প্রতিবন্ধকতা আমি চিহ্নিত করেছি, কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারে। প্রতিবন্ধকতা;

১. নেতৃত্বে অনৈক্য : নেতৃত্বে অনৈক্য জাতীয়করণের প্রধান অন্তরায়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ টির মতো সংগঠন এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। এসব সংগঠনে কেবল নেতা আছে কোনো অনুসারী নেই।

২. প্রধান শিক্ষক / অধ্যক্ষদের অসহযোগিতা :

প্রধান শিক্ষক / অধ্যক্ষ মহোদয়গণ যেহেতু সরকারিভাবে মোটামুটি সম্মানজনক বেতন পান সেই সাথে প্রতিষ্ঠানভেদে বেসরকারি বেতন ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পান (কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি) এবং সহকর্মীদেরকে শাসন করার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ যেহেতু তাঁদের হাতে, তাই তাঁরা তা হাতছাড়া করতে চান না মর্মে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসহযোগিতা করেন।

৩. আন্দোলনকারীদের অনুপস্থিতি :

আন্দোলনকারীদের অনুপস্থিতি জাতীয়করণ তথা দাবি আদায়ে প্রতিবন্ধকতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর মূলে যেসব কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে গণিত, ইংরেজি, ভৌতবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞানের মতো ব্যবসাসফল বিষয়ের শিক্ষক মহোদয়গণ মনে করেন শিক্ষকতা একটা সাইনবোর্ড স্বরূপ, সুতরাং আমাদের ওসব কিছু দরকার নেই এবং যাঁরা বাড়িতে থেকে কৃষি কাজ অথবা ব্যবসাবাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট আছেন তাঁদেরও এই চাকরি কেবল সাইনবোর্ড, তাই তাঁদেরকেও কোনো আন্দোলন সংগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায় না এবং যাবে না।

৪. প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন মান:

প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন মান জাতীয়করণের প্রধান অন্তরায়সমূহের একটি। যেসব প্রতিষ্ঠান ভৌগোলিক অবস্থান কিংবা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ভালো অবস্থান তৈরি করেছে, তাঁদের শিক্ষার্থী সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি, তাঁদের অভ্যন্তরীণ আয় ঈর্ষণীয়, স্বভাবতই সেখানকার শিক্ষক কর্মচারীদের বেসরকারি বেতন সম্মানজনক স্বভাবতই জাতীয়করণ নিয়ে তাঁরা অত বিচলিত না।

৫. সর্বোপরি রাষ্ট্রের সদিচ্ছার অভাব :

উল্লিখিত যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন, কেবল রাষ্ট্র তথা সরকার চাইলে সবকিছুই সম্ভব। তাই আমার মনে হয় গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণের ক্ষেত্রে উল্লিখিত কোনো বাধাই ছিল না বলে আমি মনে করি।

লেখক:মশিউর রহমান, শিক্ষক ও কলামিস্ট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ