১.২০০৬ সালের নিয়োগবিধিতে উল্লেখ ছিল শুন্যপদের বিপরীতে সনদ দিবে,শুন্যপদ অনুযায়ী সনদ দিলে নিবন্ধন সনদধারী বেকার থাকার কথা ছিল কি?কার স্বার্থে, কোন উদ্দেশ্য আপনারা অতিরিক্ত সনদ দিয়েছিলেন?
২. প্রতিবছর একটি গনবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা কিন্তু এ পর্যন্ত গনবিজ্ঞপ্তি দিলেন ৩ টি এ দায় কার?
৩.পরীক্ষার পুর্বে(১-১২) তমদের নম্বরভিত্তিক নিয়োগ প্রতিযোগিতার কথা না বলে পরীক্ষার পর নাম্বারে অযুহাতে নিয়োগ না দেওয়া কি প্রতারণা নয়?
৪. সনদে লিখা সবাই নিয়োগযোগ্য তাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে টালবাহানা কেন?
৫. মেধাতালিকা করার পর আবার আবেদন করে প্রতিযোগিতা তৈরি করা! তাহলে এটা কিসের মেধাতালিকা?
৬.একই মেধাতালিকা থেকে অনেক আবেদন করার কারণে পিছনে থাকা ব্যক্তিও চাকরি পাচ্ছে আবার সামনে থাকা ব্যক্তিও চাকরি পাচ্ছে না, এটা কেমন মেধাতালিকা?
৭.নিবন্ধন পরীক্ষা হলো ১৫ টি, প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা মানের ছিল। তাহলে সব পরীক্ষায় মিলিয়ে একটি মেধাতালিকা কেমন করে হয়?
নিয়োগ পরীক্ষায় এমন মেধাতালিকা কোথাও আছে কি?
৮. আদালত বলেছে জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে, কিন্তু আপনারা ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলাদা আলাদা আবেদন নেন কেন? এ সিদ্ধান্ত আপনাদের কে দিয়েছে?
৯. যেখানে মেধাতালিকা আছে সেখানে হাজার হাজার আবেদন কেন, শুন্যপদের বিপরীতে মেধাক্রম অনুযায়ী সুপারিশ করলেই কি হতো না?
১০. মেধাতালিকার প্রার্থী বেকার রেখে আবার নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা লম্বা করার উদ্দেশ্য কি, এমন নজির কোথাও দেখাতে পারবেন?
১১.শুন্য পদ আছে প্রায় ৬০/৭০ হাজার, অন্যদিকে মেধাতালিকায় প্রার্থীও আছে অপেক্ষামান,পাস করা যোগ্যরা বেকার অন্যদিকে হাজার হাজার শুন্যপদ! এটা একদিকে কৃত্রিম শিক্ষক সংকট,অন্যদিকে কৃত্রিম বেকার তৈরির কারখানা নয় কি?
কার স্বার্থে আপনারা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করছেন? সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার নীল নকশা কে দিয়েছে আপনাদের?
১২. ইনডেক্সধারীদের পুনরায় নিয়োগ দিচ্ছেন অন্যদিকে বেকারদের কাছ থেকে আবেদনের নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কেন?ইনডেক্সধারীদেরকে কি আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বদলি করা যেতো না?
১৩. একটি চাকরির জন্য একজন প্রার্থীর হাজার হাজার আবেদন পৃথিবীর কোথাও আছে কি? এক আবেদনে প্রাতিষ্ঠানিক চয়েস অর্ডারের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া কি সম্ভব ছিল না?
আপনাদের অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সরকারের ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটিকে আপনারা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছেন!
তাই সরকারের শীর্ষ মহলের কাছে আমাদের দাবি মেধাতালিকা থেকে এক আবেদনে সকল সনদধারীদের প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ এখন সময়ের যৌক্তিক দাবি।পাশাপাশি এনটিআরসিএ এর পাহাড়সম দুর্নীতি ও অনিয়মের মাস্টারমাইন্ডদের দ্রুত জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।তবেই শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাণ ফিরে আসবে সরকারের ভাবমুর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।এবং মুজিব বর্ষে লক্ষ বেকারের মুক্তির বছর হিসেবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বি.দ্রঃ উপরের বিষয়গুলো মিডিয়ায় নিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো।
0 মন্তব্যসমূহ