Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সংবিধানের শুরুতে বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলাম প্রশ্নে!

সংবিধানের শুরুতে বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলাম:
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইবেল ছুঁয়ে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে। এজন্য কি তাকে সাম্প্রদায়িক বলা যায়? অন্য ধর্মের মানুষদেরও প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় না।

একটা দেশে যে জাতির সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকে, স্বাভাবিকভাবে সেই জাতির উপর দায়িত্ব এসে বর্তায় সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার সমুন্নত রাখা।

পৃথিবীর কোন জাতিই এতোটা উদার নয় যে, নিজের ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যধর্মের অধিকারের কথা বেশি বলে। বরং নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালনের সাথে সাথে অন্যধর্মের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ নেয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতে
বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলাম থাকার জন্য নানা বক্তব্য পেশ করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায় কতিপয় লোক। সংবিধানে লেখা আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’

এটি থাকার কারণে মুসলিমদের জন্য আলাদা কি লাভ হচ্ছে? সবার জন্য বাংলাদেশে সমান সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সংখ্যা লঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে নানা সুযোগ সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তারপরও অযথা কিছু মানুষ সংবিধানে উল্লেখিত রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এবং শুরুতে বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করে।

যখন সংবিধান এই দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখন কেন কথা বলেন নি?
আজকে কেন কথা বলছেন? রাজনীতি করার জন্য?
বাংলাদেশে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান থেকে এই দুটি বিষয় উঠিয়ে দিলে দেশে একটা হট্টগোল লাগবে। তাহলে কি আপনাদের উদ্দেশ্য দেশে হট্টগোল লাগিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া?

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যেখানে আমেরিকাকে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের সূতিকাগার বলা হয়, সেই দেশের প্রেসিডেন্ট বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নিলে, সেটি নিয়ে কেউ আলাপ তোলেনা, আমেরিকা সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হয়ে যায় না। সেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা দুঃখজনক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কি পবিত্র কুরআন শপথ করে দায়িত্ব গ্রহণ করে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ