রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রনেতারা হলে মহান স্বাধীনতা দিবসের খাবার লুটের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই শাখার সভাপতি চিরন্তন চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম গত ২৯ মার্চ হলের অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম।
জানতে চাইলে অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, 'শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করতে চেয়েছিলাম। তবে গত ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সহযোগিতায় আসামি চিরন্তন চাঁদ ও মোমিন ইসলাম আমার কাছে আসেন। তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে এবং আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে পরে এই ধরনের কাজ করবে না। এ প্রসঙ্গে আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। আশা করি পরে তারা আর তা করবে না।
এ বিষয়ে হল শাখার সভাপতি চিরন্তন চাঁদ বলেন,
ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনই সাংঘর্ষিক অবস্থানে যেতে পারে না। আমরা হল প্রাধ্যক্ষকে বলেছি আমাদের কেউ যদি এমনটা করে থাকে তাহলে তাদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে আবাসিক ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার বিতরণকালে প্রাধ্যক্ষের সামনেই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি চিরন্তন ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী টোকেন ছাড়া জোরপূর্বক ১২০ প্যাকেটের মতো খাবার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে খাবার সংকটের সৃষ্টি হয় এবং অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীর টোকেন থাকা সত্বেও তারা খাবার পায়নি।
0 মন্তব্যসমূহ