প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্যের কারণে সমগ্র দেশে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় কারণে বক্তব্য দিয়েছে, এই বাংলাদেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকতে পারেনা। দাঁড়ি টুপি, ফতোয়া, ওয়াজ মাহফিল নিয়ে কটাক্ষ করে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা হেফাজত ও জামাআত নেতাদের ওয়াজ শুনলে মোবাইল লাত্থি দিয়ে ফেলিয়ে দিতে চেয়েছে, আলেমওলামাদের নামধারী উল্লেখ করে দাঁড়ি টুপি শেভ করে দিতে চেয়েছে।
পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কার ওয়াজ শুনবে, সেটি নির্ধারণ করার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ কে?
নামধারী আলেমওলাম হোক আর যেমন আলেমওলামা হোক, তাদের দাঁড়ি টুপি সেভ করে দিতে চাওয়ার সে কে?
এইদেশে হিন্দু ও মুসলিমের কোন দ্বন্দ্ব নাই। হিন্দু ও মুসলিম বহুকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছে। মূলত প্রতিমন্ত্রী মুরাদরা এই দেশকে অস্থিতিশীল ও সাম্প্রদায়িক প্রমাণ করে আগামী নির্বাচনের ইস্যু তৈরি করতে চায়। আগামী নির্বাচনে তারা বলবে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা না আনলে দেশটা তা*/লে*/ বা*/ ন* দের মত মো*ল্লাদের দখলে যাবে। আগামী নির্বাচন উপলক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা কথা বলে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা এখন থেকেই শুরু হয়েছে।
দেশের মুসলিম ও হিন্দু ভাইবোনদের প্রতিমন্ত্রী মুরাদদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান করছি। আপনারা শান্ত থাকুন, একে অপরের প্রতি সহনশীল থাকুন। কোন প্রকৃত হিন্দু বা মুসলিম মন্দিরে কুরআন রাখতে পারেনা। যে রেখেছে সে হিন্দু- মুসলিম সবার শত্রু।
0 মন্তব্যসমূহ