দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদে 'ট্রেড অর্গানাইজেশনস বিল-২০২২' পাসের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছে, সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
বিএনপি'র সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, ঢাকায় গ্যাসের সংকট রয়েছে। গ্যাসের দাম, তেলের দাম- সব কিছুই ঊর্ধ্বমুখী। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
দলের আরেক সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হইচই হয়েছে। ১৫ দিনে সিন্ডিকেট তুলে নিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। সিন্ডিকেট তো সরকার। সরকার ও সিন্ডিকেটের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ভদ্রলোক। কিন্তু তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। আর তাতে প্রায় সময় সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে। মন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হয়েও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
সরকার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণে দাম বেড়েছে বলা হচ্ছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক প্রশ্ন তোলেন, যেসব পণ্য যুদ্ধের আগে আমদানি করা হয়েছে এবং যেগুলো দেশি পণ্য, সেগুলোর কেন দাম বাড়বে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির আরেক সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২ সম্পর্কে বলেন, সিন্ডিকেটের স্বার্থে বিলটি আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিন্ডিকেটকে উৎসাহী করা হচ্ছে।
গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে যুদ্ধকে সামনে নিয়ে আসলে হবে না। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মূল্য বাড়িয়ে পকেট কেটে অনেক টাকা নিয়ে গেছে।
সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, এটা তিনি কখনো বলেননি। প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ