Hot Posts

6/recent/ticker-posts

পাকিস্তানের অস্থিরতায় চিন্তিত তারেক।


বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রগাঢ় সম্পর্ক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানপন্থীদের নেতা মনে করা হতো এক সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে। 

সেই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং তারপর তারেক জিয়া। এরা সবাই পাকিস্তানের মদদপুষ্ট রাজনীতিবিদ বলেই পরিচিত। আর সে কারণেই বর্তমানে পাকিস্তানের চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে পাকিস্তানের একজন সামরিক কর্মকর্তা যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সব প্রটোকল উপেক্ষা করে সেই সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নিজে হাজির হয়েছিলেন। এটি বাংলাদেশের কূটনীতিতে একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করা হয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন যে, ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপিকে টাকা দিয়েছেন। 





এছাড়াও বিভিন্ন সময় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিএনপিকে নানারকম সহযোগিতা করে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করার জন্য আইএসআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে অন্যতম বিএনপি। আর লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া আইএসআইয়ের একজন পে-রোল রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত।





২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআইয়ের নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং তার প্রভাব পড়েছিল একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ও ১০ ট্রাক অস্ত্র ঘটনায়। 


লন্ডনে বসেও তারেক জিয়া আইএসআইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করেন- এমন খবর মাঝে মাঝে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি যেকোনো মূল্যে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। এছাড়া হঠাৎ করেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ দেখিয়েছিল। ধারণা করা হয় যে, এর পিছনে ছিল পাকিস্তানীদের ভূমিকা ছিল অন্যরকম।


তার ফলে গত কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপি সম্পর্ক উন্নয়নের ফের চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির নেতারা তারেক জিয়ার নির্দেশে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এ কারণেই বিএনপি ঘোষণা করেছিল যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। 





তবে বর্তমানে পাকিস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বিএনপির সেই পরিকল্পনাতে ভাটা পড়েছে। আর তাতেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ