জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর ক্ষমতার লড়াইয়ে উপজেলা বিএনপিতে ব্যাপক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সুহেল আহমদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়। এরপর থেকেই তাদের ভেতরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে সিলেট যাওয়ার জন্য গাড়িতে করে বিশ্বনাথকে ছেড়ে চলে যান লিলু মিয়া। পথিমধ্যে সুহেল আহমদ চৌধুরী তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপজেলা সদরের কারিকোনা মসজিদের সামনে নিয়ে গিয়ে জুতা দিয়ে মারধর করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা যায়, সুহেল আহমদ চৌধুরী লিলু মিয়াকে বলছেন, 'আমি তোরে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি আমি বানাইছি ,
আমি নেতা বানাইছি। তোরে কে চিনত। তুই আমার বিরোধিতা করোস। তুই মনে করোস জানাইয়ার (স্থানীয় গ্রাম) পুয়াইনতে (ছেলেরা) তরে বাচাইলিবা।’ এসব বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনকে ভিডিও করার নির্দেশ দিয়ে জুতা দিয়ে লিলু মিয়াকে পেটাতে থাকেন সুহেল আহমদ চৌধুরী।
এ বিষয়ে জানতে লিলু মিয়াকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সুহেল আহমদ চৌধুরীর ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সহযোদ্ধা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া
শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিশ্বনাথ থানা মসজিদের সামনে সুহেল চৌধুরী নামের ডাকাতের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি আমাদের দলের কেউ নয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.
0 মন্তব্যসমূহ